আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন:

দেবহাটায় লাবণ্যবতী খালের ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৫:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলার সীমান্তে লাবণ্যবতী খালের ওপর কাঠের ব্রিজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়া পাটাতনের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতে সৃষ্টি হচ্ছে চরম ভোগান্তি। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্রিজটির অবস্থা দিন দিন নাজুক হয়ে পড়েছে। এই ব্রিজ দিয়েই দুই উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মানুষসহ শ্রীরামপুর কলেজ, কুলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। বয়োবৃদ্ধ নুর ইসলাম বলেন, “২০ বছর ধরে শুনছি ব্রিজটা ঠিক হবে। কিন্তু এখনো হয়নি। জানি না জীবদ্দশায় এটা ঠিক হয়ে যেতে দেখবো কি না।” স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, “এই ব্রিজই আমাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অবহেলার কারণে এখন এটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার পথে।” শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, “ব্রিজটা ভেঙে গেছে অনেক দিন হলো। কেউ ঠিক করে না। ভালো ব্রিজ না হলে ঠিকমতো স্কুলে আসা যায় না।” ভোমরা ইউপি সদস্য মো. নেছার উল্লাহ জানান, বরাদ্দ দেওয়া হলেও তদারকির অভাবে মেরামতের কাজ টেকসই হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের দুই প্রান্তে লোহার অ্যাংগেল বসিয়ে চলাচল বন্ধের চেষ্টা করা হলেও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মিত এই কাঠের ব্রিজটি ২০০০ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সংস্কার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি- ব্রিজটি আধুনিক অবকাঠামো দিয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হলে দুই উপজেলার লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।

ট্যাগস:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

লেখকের তথ্য সম্পর্কে

রাষ্ট্রের সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা : তারেক রহমান

দেবহাটায় লাবণ্যবতী খালের ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ

আপডেট সময়: ০৫:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটা উপজেলার সীমান্তে লাবণ্যবতী খালের ওপর কাঠের ব্রিজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়া পাটাতনের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতে সৃষ্টি হচ্ছে চরম ভোগান্তি। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্রিজটির অবস্থা দিন দিন নাজুক হয়ে পড়েছে। এই ব্রিজ দিয়েই দুই উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মানুষসহ শ্রীরামপুর কলেজ, কুলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। বয়োবৃদ্ধ নুর ইসলাম বলেন, “২০ বছর ধরে শুনছি ব্রিজটা ঠিক হবে। কিন্তু এখনো হয়নি। জানি না জীবদ্দশায় এটা ঠিক হয়ে যেতে দেখবো কি না।” স্থানীয় ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম জানান, “এই ব্রিজই আমাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু অবহেলার কারণে এখন এটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ার পথে।” শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, “ব্রিজটা ভেঙে গেছে অনেক দিন হলো। কেউ ঠিক করে না। ভালো ব্রিজ না হলে ঠিকমতো স্কুলে আসা যায় না।” ভোমরা ইউপি সদস্য মো. নেছার উল্লাহ জানান, বরাদ্দ দেওয়া হলেও তদারকির অভাবে মেরামতের কাজ টেকসই হয়নি। বর্তমানে ব্রিজের দুই প্রান্তে লোহার অ্যাংগেল বসিয়ে চলাচল বন্ধের চেষ্টা করা হলেও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মিত এই কাঠের ব্রিজটি ২০০০ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সংস্কার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি- ব্রিজটি আধুনিক অবকাঠামো দিয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হলে দুই উপজেলার লাখো মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে।