আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo দেবহাটায় আওয়ামী লগি-বৈঠা হামলাকারীদের বিচার দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস Logo অসহায় রত্না বহুকষ্টে পাড়ি দিলেন এইচএসসি, অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি অনিশ্চিত Logo পল্টন ট্র্যাজেডি দিবসে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo তিন শতাধিক গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা Logo দেবহাটা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রওশন আলী Logo “সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনে ভোট ১০ নভেম্বর” Logo সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo কালিগঞ্জের নাজিমগঞ্জে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Logo জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ
বিজ্ঞাপন দিন:
দেবহাটায় আওয়ামী লগি-বৈঠা হামলাকারীদের বিচার দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস অসহায় রত্না বহুকষ্টে পাড়ি দিলেন এইচএসসি, অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি অনিশ্চিত পল্টন ট্র্যাজেডি দিবসে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের দোয়া ও আলোচনা সভা তিন শতাধিক গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা দেবহাটা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রওশন আলী “সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচনে ভোট ১০ নভেম্বর” সাতক্ষীরায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা কালিগঞ্জের নাজিমগঞ্জে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ

অসহায় রত্না বহুকষ্টে পাড়ি দিলেন এইচএসসি, অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি অনিশ্চিত

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১১:৩৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

দারিদ্র্য, মায়ের অসুস্থতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাঝেও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আঁকড়ে আছে সাতক্ষীরার মেধাবী ছাত্রী রত্না খাতুন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও টাকার অভাবে থমকে আছে তার পথচলা। মানবিক সহায়তার হাত বাড়ালে হয়তো তার স্বপ্ন বাঁচতে পারে-সে হতে পারে সমাজের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

রত্না সাতক্ষীরা দ্যাপোল স্টার পৌর হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও সফুরন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রত্না রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু আর্থিক সংকটে সে ভর্তি হতে পারেনি। রত্নার মা রহিমা বেগম কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত। এই রোগে তার হাতের দশটি ও পায়ের তিনটি আঙুল হারিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি হাঁস-মুরগি পালন আর মানুষের সহায়তায় কোনোমতে সংসার চালান। স্বামী বহু আগেই পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন।

রহিমা বেগম বলেন, আমার শরীরের এই অবস্থা, তারপরও মেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করছি। আগে উপবৃত্তির টাকায় কষ্ট করে এইচএসসি পর্যন্ত পড়িয়েছি। এখন ভর্তি করানোর টাকা নেই। কোনোভাবে ভর্তি করালেও পরে লেখাপড়ার খরচ কিভাবে চলবে, সেটাই ভাবছি। তবু হাল ছাড়েনি রত্না। সে বলে, আমি ভর্তি হতে চাই, লেখাপড়া করতে চাই। বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।

রত্নার গল্প কেবল এক পরিবারের নয়, এটি এক মানবিক সংকটের প্রতিচ্ছবি। একটি মেধাবী মেয়ের ভবিষ্যৎ যেন টাকার অভাবে থেমে না যায়, সেই আহ্বান জানাচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বিত্তবান, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও মানবিক সংস্থাগুলো যদি রত্নার পাশে দাঁড়ায়, তবে তার মতো অসংখ্য মেয়ের জীবন বদলে যেতে পারে। হয়তো একদিন রত্নাই অন্যের পাশে দাঁড়াবে—যে সহযোগিতা আজ সে নিজেই খুঁজছে।

ট্যাগস:

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

লেখকের তথ্য সম্পর্কে

জনপ্রিয় সংবাদ

দেবহাটায় আওয়ামী লগি-বৈঠা হামলাকারীদের বিচার দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অসহায় রত্না বহুকষ্টে পাড়ি দিলেন এইচএসসি, অর্থাভাবে স্নাতকে ভর্তি অনিশ্চিত

আপডেট সময়: ১১:৩৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

দারিদ্র্য, মায়ের অসুস্থতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাঝেও উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আঁকড়ে আছে সাতক্ষীরার মেধাবী ছাত্রী রত্না খাতুন। সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও টাকার অভাবে থমকে আছে তার পথচলা। মানবিক সহায়তার হাত বাড়ালে হয়তো তার স্বপ্ন বাঁচতে পারে-সে হতে পারে সমাজের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

রত্না সাতক্ষীরা দ্যাপোল স্টার পৌর হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও সফুরন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রত্না রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু আর্থিক সংকটে সে ভর্তি হতে পারেনি। রত্নার মা রহিমা বেগম কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত। এই রোগে তার হাতের দশটি ও পায়ের তিনটি আঙুল হারিয়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি হাঁস-মুরগি পালন আর মানুষের সহায়তায় কোনোমতে সংসার চালান। স্বামী বহু আগেই পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন।

রহিমা বেগম বলেন, আমার শরীরের এই অবস্থা, তারপরও মেয়েকে মানুষ করার চেষ্টা করছি। আগে উপবৃত্তির টাকায় কষ্ট করে এইচএসসি পর্যন্ত পড়িয়েছি। এখন ভর্তি করানোর টাকা নেই। কোনোভাবে ভর্তি করালেও পরে লেখাপড়ার খরচ কিভাবে চলবে, সেটাই ভাবছি। তবু হাল ছাড়েনি রত্না। সে বলে, আমি ভর্তি হতে চাই, লেখাপড়া করতে চাই। বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে চাই, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।

রত্নার গল্প কেবল এক পরিবারের নয়, এটি এক মানবিক সংকটের প্রতিচ্ছবি। একটি মেধাবী মেয়ের ভবিষ্যৎ যেন টাকার অভাবে থেমে না যায়, সেই আহ্বান জানাচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বিত্তবান, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও মানবিক সংস্থাগুলো যদি রত্নার পাশে দাঁড়ায়, তবে তার মতো অসংখ্য মেয়ের জীবন বদলে যেতে পারে। হয়তো একদিন রত্নাই অন্যের পাশে দাঁড়াবে—যে সহযোগিতা আজ সে নিজেই খুঁজছে।